রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
আব্দুর রউফ ভূঁইয়া, ব্যুরো প্রধান কিশোরগঞ্জ, কালের খবর : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স চার মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। এবার দান বক্সের টাকা গণনা করে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গিয়াছে।
এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও সেখানে পাওয়া গিয়াছে বলে জানা যায়।
শনিবার (০৬ মে) দিবাগত রাত ৯টার পর দান বক্স থেকে প্রাপ্ত টাকার গননা শেষে টাকার হিসাবের এই তথ্য সংবাদ মাধ্যম কে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য যে শনিবার (০০৬ মে) সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়।
দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ১৯টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার চার মাস পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।
শনিবার পাগলা মসজিদের দান বক্সের টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) কাজী মহুয়া মমতাজ সহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও কিশোরগঞ্জ রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রফিকুল ইসলাম সহ রূপালী ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগন, ছাড়াও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ ছাড়াও মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মিয়া টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।জানা যায় এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের (২০২৩ ইং) ৭ জানুয়ারি মসজিদের দান বাক্স গুলো খুলে টাকা গণনা করে মোট ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও পাওয়া গিয়াছিল।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস যে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্ত থেকে আসা সকল ধর্মের নারী ও পুরুষেরা এখানে মানত করতে আসেন।